দেশব্যাপী
আপামর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনায় একটি মামলায় গত ৮ জানুয়ারি উত্তরা
পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি
নেওয়ার সময় তিনি তৎকালীন দায়িত্ব পালনকারী ওসি'র কক্ষ থেকে পালিয়ে যান। এরপর তাকে গ্রেপ্তারে
সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হলেও তিনি এখনো পলাতক রয়েছেন।
এ
ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, সাবেক ওসিকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিত, ঢাকায় আনার পর না। এ
ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি
বলেন, ওই পালানো ওসিকে
এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। যথাসম্ভব তিনি ইন্ডিয়া বা পাশের দেশে
পালিয়ে গেছেন।
আজ
(২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে
এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
জানা
যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার একটি মামলায় গত ৮ জানুয়ারি
উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি
দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। সেদিন সকালেই তিনি উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালিয়ে যান।
অভিযোগ
ওঠে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির
কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালাতে সক্ষম হন। এরপর পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সব
কয়টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তবে সবশেষ আজ (২১ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত তাকে ধরা যায়নি।
পালানো
ওসির খোঁজ মিলেছে কি না জানতে
চাইলে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সাবেক ওসিকে আমরা কুষ্টিয়া থেকে ধরে এনেছিলাম। পালানোর পর প্রশ্ন উঠেছে
যে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরিনি। যদি
ছেড়েই দেব তাহলে কুষ্টিয়া থেকে ধরে আনার দরকার ছিল না। সেখানেই তো ছেড়ে দিতে
পারত পুলিশ।
তিনি
বলেন, বাস্তব কথা হচ্ছে যে একটু সহানুভূতি
দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন
পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়ত পালাতে পারত না। একজন সাব ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়ত কেয়ারলেস
হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই
সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।
ডিএমপি
কমিশনার বলেন, আমরা তাকে ধরার খুব চেষ্টা করছি। তবে আমার ধারণা সে হয়ত এ
দেশে আর নেই, ইন্ডিয়া
বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।